
ভোটের দায়িত্ব পালনকালে কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।
নির্বাচনি আইন অনুয়ায়ী ভোট আয়োজক কর্মকর্তাদের কমিশন নির্দেশনা দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কারও অন্যায় চাপে ইসি নতি স্বীকার করবে না….আমাদের একটাই মেসেজ আপনাদের কাছে বলতে চাই। কোন প্রেসারের কাছে নতি স্বীকার করবেন না, কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না এবং সম্পূর্ণভাবে নিজের সিদ্ধান্তে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন।’
সুষ্ঠু ভোটের দায়িত্ব পালনে সবাইকে ইসি পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি মাঠ পযায়ে কর্মকর্তাদের কাজের সমন্বয়ে ভালো ভূমিকা রাখার তাগিদ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতায় থাকব। এবং নির্বাচন কমিশনও কিন্তু কারো কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। সুতরাং আমরা আপনাদেরকে অন্যায় কোন আদেশ দিব না। অন্যায় কোন হুকুম দিব না। আইন অনুযায়ী আমাদের নির্দেশনা যাবে বা আপনারা সেটা সেভাবে পালন করবেন। ’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সিইসি বলেন, ‘যে ধরনের কাজের দায়িত্ব পড়ুক না কেন সেটা আপনারা আইনসম্মতভাবে, নিউট্রালি, প্রফেশনালি কাজ করবেন। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। আমরা আমাদের দেশের যে এই দুরবস্থার একটা মূল কারণ হল – আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নই। যে জাতি আইনের প্রতি যতটা শ্রদ্ধাশীল যত বেশি সেই জাতি তত সভ্য বলে আমরা মনে করি।’
ভোটে আইন-বিধি প্রতিপালন ও অনুসরণে কমিশনের দায়িত্বের কথা তুলে ধরেছেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সর্বস্তরের আইন মেনে চলবো, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবো। আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের মধ্যে সমন্বয়টা একটা বড় জিনিস, এ সমন্বয়ের দায়িত্বটা মূলত আপনাদের উপরে নির্ভর করে।’
তার কথায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিজাইডিং অফিসার, কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল, জেলা মনিটরিং সেল, ইলেকশন মনিটরিং সেল থাকবে। এছাড়া সার্বিক সমন্বয় ‘সিরিয়াস’ করার বিষয়ে ইউএনও’র ভূমিকা চান সিইসি।
‘উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয়টা আপনারাই করে থাকেন। সুতরাং নির্বাচনের সময়ও এ সমন্বয়টা খুবই জরুরি। কোনো ক্রাইসিস হলে শুরতেই যেন ট্যাকেল করা সে চেষ্টা আপনারা নিবেন।
সবকিছু শেষ হওয়ার পরে তখন দেখবেন যে আর কেউ নাই, সবাই মারামারি করে ভোটের কেন্দ্র দখল করে,বাক্স দখল করে বাড়ি চলে গেছে আর আপনি গিয়ে হাজির হলেন সেটা যাতে না হয়। এটা আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।