
ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করে আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত বলেছেন, ‘একটি অপরাধের মুখে নীরব থাকা আরও অপরাধের পথ প্রশস্ত করে। কাতার একা নয়, আরব ও ইসলামি বিশ্ব দোহার পাশে দাঁড়িয়েছে।’
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দোহায় জরুরি আরব ও ইসলামি নেতাদের সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আবুল গেইত মনে করেন যে, গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে দুই বছরের আন্তর্জাতিক নীরবতার সরাসরি ফল হলো ইসরায়েলের বর্তমান কর্মকাণ্ড। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতা দখলদারদের এমন অপরাধ করতে উৎসাহিত করেছে, যা এখন পর্যন্ত শাস্তিহীন থেকে যাচ্ছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের বিমান হামলার পর কাতার এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ওই হামলায় হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন যে, সম্মেলনে ‘ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব’ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
দোহায় অনুষ্ঠিত প্রাক-প্রস্তুতি সভায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘দ্বৈত মানদণ্ড ব্যবহার বন্ধ করে ইসরায়েলকে তার অপরাধের জন্য শাস্তি দিতে হবে।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান হত্যাকাণ্ড এবং তাদের নিজ ভূমি থেকে জোরপূর্বক বিতাড়নের চেষ্টা কখনো সফল হবে না।’ তিনি ইসরায়েলের হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, ‘এই ভয়াবহ হামলা দোহায় শান্তি আলোচনার সময় ঘটেছে। হামলাটি কেবল হামাসের শান্তি আলোচকদের লক্ষ্য করেই করা হয়নি, বরং এটি মধ্যস্থতার মূল নীতিকেও আক্রমণ করেছে।’
সূত্র: আরব নিউজ
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	