
ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টেস্ট ড্রয়ের পর ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্ট হলো একপেশে, যেখানে চোটগ্রস্ত পেস বিভাগ নিয়েও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে।
জ্যাকব ডাফির ৫ উইকেট শিকারের সুবাদে মাত্র তিন দিনেই শেষ হলো এই টেস্ট এবং এর মাধ্যমে কিউইরা সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল। প্রথম ইনিংসে টম ল্যাথামের দল ৭৫ রানের লিড নিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে উইন্ডিজরা মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় কিউইদের লক্ষ্য দাঁড়ায় স্রেফ ৫৪ রানের। মাত্র এক উইকেট হারিয়ে সেই গন্তব্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।
২ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে (শুক্রবার) তৃতীয় দিন শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তখনও তারা ৪১ রানে পিছিয়ে ছিল। কিন্তু প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তা দেখানো দলটি আজ ৩৬.২ ওভারে ৯৬ রান তুলতে বাকি ৮ উইকেট হারায়।
ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে কাভেম হজের ব্যাটে সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে; এছাড়া জাস্টিন গ্রিভস ২৫ ও ব্রেন্ডন কিং ২২ রান করেন। ৩৮ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন জ্যাকব ডাফি, যা তার আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফাইফার।
এছাড়া মাইকেল রাই ৩ ও জ্যাক ফকস নেন এক উইকেট। পরে ৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড এক উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায়। ডেভন কনওয়ে ২৮ এবং কেইন উইলিয়ামসন ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম ৯ রানে আউট হন; ক্যারিবীয়দের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন অ্যান্ডারসন ফিলিপ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ২০৫ রানে অলআউট হয়েছিল। ৪ উইকেট নিয়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দেওয়া ব্লেয়ার টিকনার ওই ইনিংসও পুরো শেষ করতে পারেননি; বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে তিনি কাঁধের ইনজুরিতে পড়েন।
নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে ২৭৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা (ডিক্লেয়ার) করে এবং তাদের লিড দাঁড়ায় ৭৫ রানের। তাদের পক্ষে মিচেল হেই সর্বোচ্চ ৬১ এবং কনওয়ে ৬০ রান করেন। বিপরীতে উইন্ডিজ পেসার অ্যান্ডার ফিলিপ ও কেমার রোচ দুজনই ৩টি করে উইকেট নেন।