
রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে ধারাবাহিক ফর্মে থাকা কিলিয়ান এমবাপে জাতীয় দলেও ছন্দ হারাচ্ছেন না। ফ্রান্সের এই বিশ্বকাপজয়ী তারকা বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ইউক্রেনের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দেশকে ৪-০ ব্যবধানে বড় জয় এনে দেন। একইসঙ্গে নিশ্চিত হলো ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট। পেশাদার ক্যারিয়ারের ৪০০তম গোল স্পর্শের পথেও এগোলেন তিনি।
ম্যাচ শুরুর আগে স্মরণ করা হয় ২০১৫ সালে ফ্রান্সে জঙ্গী হামলায় নিহত ১৩২ জনকে। পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধেও সংহতি জানানো হয়। তবে মাঠে খেলা শুরু হলে পুরো নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে দিদিয়ের দেশমের দল। যদিও সব গোলই আসে দ্বিতীয়ার্ধে।
বল দখলে ৬৭ শতাংশ আধিপত্য দেখায় ফ্রান্স। নেয় ২৩টি শট, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীত দিকে ইউক্রেন গোলমুখে একবারও শট নিতে পারেনি। এমবাপের জোড়া গোল ছাড়াও স্কোরশিটে নাম তোলেন মাইকেল ওলিসে এবং হুগো একিতিকে। প্রথমার্ধে ইউক্রেন গোলরক্ষক ট্রুবিন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেভে দলকে বাঁচালেও দ্বিতীয়ার্ধে আর ধরে রাখতে পারেননি।
৫৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পানেনকা শটে দলের খাতা খোলেন এমবাপে। এর আগে ওলিসেকে ফাউল করায় পায় স্পট কিক। ৭৬ মিনিটে সতীর্থদের দারুণ সমন্বয় থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওলিসে। সাত মিনিট পর ম্যাচের তৃতীয় গোল করেন এমবাপে—যা জাতীয় দলের হয়ে তার ৯৪ ম্যাচে ৫৫তম গোল। জিরুর ৫৭ গোলের রেকর্ড ছুঁতে এখন মাত্র দুটি গোল দূরে তিনি। চলতি মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এমবাপের অবদান ২০ ম্যাচে ২৮ গোল।
বাকি রোমাঞ্চ আসে ৮৮ মিনিটে। বদলি নামা একিতিকে এমবাপের সঙ্গে চমৎকার ওয়ান-টু পাসে নিচু শটে গোল করে ফ্রান্সকে ৪-০ ব্যবধানে বড় জয় এনে দেন। পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নেয় লেস ব্লু। ৭ পয়েন্ট করে নিয়ে দুই-তিনে আছে আইসল্যান্ড ও ইউক্রেন; আজারবাইজানের পয়েন্ট স্রেফ ১।
ইউরোপ থেকে ইংল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করা ফ্রান্সকে নিয়ে প্রশংসায় ভাসান দেশম। তিনি বলেন, ‘এমবাপের উপস্থিতিতে দল সবসময়ই এগিয়ে থাকে। তার মতো অধিনায়ক ও খেলোয়াড় থাকলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। আজও সে সেই ভূমিকা পুরোপুরি পালন করেছে।’