
প্রায় পাঁচ দিন ধরে চলার পর গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে ভারী বৃষ্টি অনেকটাই কমেছে । তবে এরপরও দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে গরম খুব একটা কমছে না।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শুক্রবারও দেশের কিছু কিছু স্থানে ‘ছিটেফোঁটা’ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এরই মধ্যে সাগরে আবার একটি লঘুচাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ লঘুচাপ এবার বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আপাতত।
চলতি মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, কমে আসে বৃষ্টি। তবে গত শনিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। দেশের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টি হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ, কিশোরগঞ্জের নিকলী-এসব এলাকায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়। রাজধানীতেও অনেক বৃষ্টি হয়। তবে গত বুধবার থেকে বৃষ্টি কমে আসতে থাকে।
এদিকে ব্রিহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় সিলেটে ৫২ মিলিমিটার। রাজধানীতে বৃষ্টি হয় মাত্র ২ মিলিমিটার। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে গতকাল খানিকটা বৃষ্টি হলেও চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন।
আজ আবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, আজ দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও তা হবে ছিটেফোঁটা। এমনটা চলতে থাকবে আরও দুই থেকে তিন দিন।
চলতি মাসে এরই মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে আগামী মঙ্গল বা বুধবার থেকে সাগরে আরেকটি লঘুচাপের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক। তিনি বলেন, এখনো খানিকটা সময় বাকি। তবে এখন পর্যন্ত গতিপ্রকৃতি যা, তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা খুলনার কাছাকাছি সাগরে এ লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরে অবশ্য এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ওডিশা উপকূলে চলে যেতে পারে।
সম্ভাব্য এই লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন নাজমুল হক। তিনি বলেন, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপের প্রভাব কতটা হবে তা কিন্তু এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।