
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৯ রানে জয় পায় নেপাল। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯০ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে নেপাল। নেপালের করা ১৭৩ রান তাড়া করতে নেমে ৮৩ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়ানরা।
এতেই উৎসবে মাতে নেপালী সমর্থকরা। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এটাই তাদের প্রথম সিরিজ জয়। এমন ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় নেপাল।

দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৭ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন নেপালের ওপেনার আসিফ শেখ। জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। আমরা ৩-০ তে শেষ করতে চাই। নেপালে ক্রিকেট উৎসবের মতো, নেপালের সব সমর্থককে ধন্যবাদ। তারা অনেক দূরদূরান্ত থেকে এসে আমাদের সমর্থন দেন। কৃতিত্বটা তাই তাদেরও।’
এই সিরিজ দিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে তাদের মুখোমুখি হলো নেপাল। দুবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এই সিরিজ নেপালের জন্য কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজও। আর সেখানেই কিনা ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে রোহিত পৌড়েলের দল!

দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের করা ১৭৩ রানের বিপরীতে ১৭ ওভার ১ বলে ৮৩ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির সহযোগী কোনো দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলুড়ে দলের এটাই সর্বনিম্ন সংগ্রহ। নেপালের ৯০ রানের জয়টি টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষ সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ রানে জয়ের নজিরও।
নেপালের অধিনায়ক রোহিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ভালো লাগছে। টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে জয় অনেক কঠিন। (প্রথম ম্যাচের) দুই দিন পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয় দারুণ ব্যাপার…বিশ্বকে নিজেদের খেলা ও প্রতিভা দেখাতে এই সিরিজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গত দুই–তিন বছর ধরে আমরা যেভাবে খেলছি, তাতে অনেকেরই মনোযোগ কাড়তে পেরেছি। আমরা এভাবেই চালিয়ে যেতে চাই এবং টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে বেশি বেশি খেলতে চাই। সিরিজটা আরও ভালোভাবে শেষ করতে চাই, সবকটি (ম্যাচ) জয়ের প্রেরণা আছে। তবে সে জন্য নতুন করে শুরু করতে হবে।’

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শারজায় আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে নেপাল।