Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের

এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের
এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের


যুক্তরাষ্ট্র এবার পুরো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্তের প্রতিশোধ হিসেবেই শিগগিরই এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে দেশটি। 

রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওয়াশিংটন এর আগে থেকেই আইসিসির কয়েকজন বিচারক ও প্রসিকিউটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, তবে এবার পুরো প্রতিষ্ঠানকেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হলে তা একটি বড় ধরনের নাটকীয় ঘটনা হবে।

Advertisement

এই বিষয়ে অবগত ছয়টি সূত্র জানিয়েছে, ‘এনটিটি স্যাংশন’ বা পুরো প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত খুব শিগগিরই ঘোষণা করা হতে পারে। আদালত ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক করেছে এবং কূটনৈতিক মহলেও আলোচনা চলছে। 

একজন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, পুরো আদালতকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে, তবে সুনির্দিষ্ট সময় নিয়ে তিনি কিছু জানাননি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন যে, আইসিসি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নাগরিকদের ওপর ‘অযৌক্তিক এখতিয়ার’ দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, যদি আদালত কাঠামোগত পরিবর্তন না করে, তাহলে ওয়াশিংটন নিজেদের সেনাসদস্য ও স্বার্থ রক্ষায় অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে।

যদি পুরো প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, তাহলে কর্মীদের বেতন দেওয়া, ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করা বা সফটওয়্যার চালানো পর্যন্ত বিঘ্নিত হতে পারে। সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে আদালত এরই মধ্যে কর্মীদের ২০২৫ সালের বাকি মাসের বেতন আগাম পরিশোধ করেছে। আদালত বিকল্প ব্যাংকিং সেবা ও সফটওয়্যার সরবরাহকারীর খোঁজও করছে।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগভিত্তিক আইসিসি ইতোমধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট এবং হামাসের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধের অপরাধের অভিযোগ এনেছে। 

এর আগে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের কর্মকাণ্ড তদন্তের কারণেও আদালতের কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আদালতের ১২৫টি সদস্যদেশের কয়েকটি দেশ আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের এই অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর চেষ্টা করবে। তবে সব ইঙ্গিতেই বোঝা যাচ্ছে, ওয়াশিংটন এবার তাদের আক্রমণ আরও বাড়াতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই আদালতকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি’ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘আইনের অপব্যবহারের হাতিয়ার’ বলে অভিহিত করেছেন।

উল্লেখ্য যে, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আদালত গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার এখতিয়ার রাখে। তবে শর্ত হলো, অপরাধটি সদস্য রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে বা নাগরিক দ্বারা সংঘটিত হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই আদালতের সদস্য নয়। তবে আইসিসি ফিলিস্তিনকে সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সংঘটিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিচারের এখতিয়ার রাখার দাবি করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল উভয়ই প্রত্যাখ্যান করেছে। 

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউস আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তিনি নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছিলেন। করিম খান বর্তমানে যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্তের মুখে ছুটিতে আছেন, যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সূত্র: রয়টার্স





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
কাল সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

কাল সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

Next Post
তাহসানের অবসরের গুঞ্জনের মাঝেই ফেসবুকে মিথিলার পোস্ট

তাহসানের অবসরের গুঞ্জনের মাঝেই ফেসবুকে মিথিলার পোস্ট

Advertisement