
আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টায় (১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত) দেশের রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম প্রদেশে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রংপুর বিভাগের তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি ইতোমধ্যেই বাড়ছে। ধরলা নদীর পানি আপাতত স্থিতিশীল থাকলেও আগামী তিন দিনে তিস্তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে চার জেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে এই সময়ে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও আগামী কয়েক দিনে তা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিপৎসীমার নিচেই থাকবে। গঙ্গা ও পদ্মার পানিও বাড়তে পারে, কিন্তু তা বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না।
এছাড়া সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি এবং সিলেট অঞ্চলের সারিগোয়াইন, মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাঙ্গু নদীর পানি ইতোমধ্যে বেড়েছে, তবে মুহুরী, ফেনী, সেলোনিয়া, হালদা ও মাতামুহুরীর পানি হ্রাস পেলেও আবারও বাড়তে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।