
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা আলী লারিজানি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘যৌথ অপারেশন রুম’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
দোহায় ইসরায়েলের হামলার পর কাতারে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মুসলিম নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই সম্মেলন থেকে ‘কাতার রাষ্ট্রের ওপর ইসরায়েলি আক্রমণের বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব’ আনা হবে।
আসন্ন সম্মেলনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আঞ্চলিক, বিশেষ করে আরব দেশগুলোকে ‘কার্যকর ফলাফল ছাড়াই’ সম্মেলন আয়োজনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।
এক্স-পোস্টে লারিজানি বলেন, একটি যৌথ অপারেশন রুম গঠন এই সত্তার (ইসরায়েল) মালিকদের উদ্বিগ্ন করার জন্য এবং তাদের আদেশ পরিবর্তন করার জন্য তাগাদা দিতে যথেষ্ট হবে।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে, তা হবে ‘ইহুদি সত্তার পক্ষে আগ্রাসনের জন্য একটি নতুন লাইসেন্স প্রদানের সমান।’
গত জুন মাসে ইসরায়েল ইরানেও আক্রমণ করেছিল। এর ফলে কয়েকদিন ধরে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ চলে।
এদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, কাতারে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ইসরায়েলকে একটি স্পষ্ট সংকেত দেওয়া। কিংস কলেজ লন্ডনের বিশ্লেষক আন্দ্রেয়াস ক্রিগ বলেন, উপসাগরজুড়ে ইসরায়েলি হামলাকে সার্বভৌমত্বের এক অভূতপূর্ব লঙ্ঘন এবং কূটনীতির ওপর আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনটি ইঙ্গিত দেয় যে, ‘এই ধরনের আগ্রাসন স্বাভাবিক করা যাবে না।’
ক্রিগ আরও বলেন, এর ‘লক্ষ্য হলো স্পষ্ট রেড লাইন টেনে দেওয়া এবং ইসরায়েলের মধ্যে এই ধারণার অবসান ঘটানো যে, তারা শাস্তির মুখোমুখি হতে পারবে না। ফিলিস্তিনের বিষয়ে আরও তীক্ষ্ণ অবস্থান এবং ইসরায়েলি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থানও এর লক্ষ্য।’