
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই অঞ্চলে তাদের নীতি পরিবর্তন করে, ইসরায়েলকে সমর্থন করা বন্ধ করে, তবেই কেবল তাদের সঙ্গে সহযোগিতার কথা বিবেচনা করবে ইরান।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘যদি তারা জায়নবাদী শাসনের প্রতি সমর্থন সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করে, এখান থেকে তাদের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার করে এবং এই অঞ্চলে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকে, তাহলে এটি (সহযোগিতা) বিবেচনা করা যেতে পারে।’
১৯৭৯ সালে মার্কিন দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক সমাবেশে এই মন্তব্য করা হয়।
খামেনি আরও বলেন, ‘যদি দেশ শক্তিশালী হয় এবং শত্রু বুঝতে পারে যে, এই শক্তিশালী জাতির মুখোমুখি হলে লাভ হবে না বরং ক্ষতি হবে, তাহলে দেশ অবশ্যই অনাক্রম্যতা পাবে।’
ইরান বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে, বিশেষ করে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানিও একই প্রক্রিয়া শুরু করে।
গতকাল রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি আল জাজিরাকে বলেছেন, তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘আলোচনায় প্রবেশ করতে প্রস্তুত’। তবে আলোচনা হবে কেবল পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে; ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা নিয়ে কোনো আলোচনা নয়।