
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতি জার্মানির অন্ধ সমর্থন বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছে। এটি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের একজন রক্ষক হিসেবে জার্মানির সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। এ অবস্থায় জার্মানি তাদের পররাষ্ট্রনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছে। জার্মান পররাষ্ট্র নীতি বিশ্লেষক মার্কাস স্নাইডার এমনটাই মনে করেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জার্মানি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান মামলার মুখোমুখি হয়ে বার্লিন নিজেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন মনে করছে – এমনকি ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যেও।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে জোটবদ্ধতার কারণে নৈতিক শক্তি হিসেবে জার্মানির বিশ্বাসযোগ্যতা পদ্ধতিগতভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
জার্মান পররাষ্ট্র নীতি বিশ্লেষক মার্কাস স্নাইডারের মতে, ক্ষতি ইতোমধ্যেই গভীর। কারণ, বার্লিনের অবস্থান ‘তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্র নীতিগুলোকে ক্ষুণ্ণ করছে।’
স্নাইডার আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, ‘আমরা জার্মান হিসেবে বলেছি যে, আগ্রাসনমূলক যুদ্ধ নিষিদ্ধ করা উচিত, যুদ্ধাপরাধের বিচার করা উচিত এবং জাতিগত নির্মূলের মতো বিষয়গুলোকে বেআইনি ঘোষণা করা উচিত।’
তিনি বলেন, জার্মানির দ্বৈত মান স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে – বিশেষ করে যখন ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয়ে গাজার সঙ্গে তাদের অবস্থানের তুলনা করা হয়।
জার্মান বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘আমি বলব গাজায় নিয়ম-ভিত্তিক ব্যবস্থার মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনে জার্মান ধারণা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি দেশটির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে আর সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা যখন নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার কথা বলি তখন কেউ আর আমাদের (জার্মানিকে) বিশ্বাস করে না। আমরা যখন মানবাধিকার নিয়ে কথা বলি, তখন কেউ আমাদের আর বিশ্বাস করে না।’