
আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের মাধ্যমে দখলদার ইসরায়েলের দুই জিম্মির মরদেহবাহী কফিন হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে কফিনগুলো হস্তান্তর করে রেডক্রস।
মরদেহগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আবু করিম ফরেনসিক সেন্টারে নিয়ে যাবে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের পরিচয় নিশ্চিতে দুই-একদিন সময় লাগতে পারে। যদিও এর আগেও এগুলোর পরিচয় শনাক্ত হতে পারে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, কফিনগুলোতে কোনো বিস্ফোরক বা বোমা আছে কি না আগে সেটি পরীক্ষা করবে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর এগুলো ইসরায়েলি পতাকায় মুড়ানো হবে।
যদি এই দুই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে হামাসের কাছে আর মাত্র ১১ জিম্মির মরদেহ থাকবে।
গত ১৩ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর ওইদিনই ২০ জীবিত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয় হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী। এরপর ধীরে ধীরে মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া শুরু করে।
হামাস মৃত জিম্মিদের মরদেহ যেসব জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল সেগুলো কয়েকটি ধ্বংসস্তূপের নিচের চাপা পড়েছে। এগুলো উদ্ধার করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই দুইবার এটি লঙ্ঘন করেছে দখলদার ইসরায়েল। চুক্তি ভেঙ্গে গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে দখলদাররা নতুন করে প্রায় ১৬০ জনকে হত্যা করেছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র পরশুদিন একরাতে ১০৪ জনকে হত্যা করেছে তারা।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	