
ইসরায়েল ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল বলছে, এই অভিযানটির লক্ষ্য হুথিদের ওপর দমনমূলক কার্যক্রম। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এই হামলার তথ্য প্রথমবার নিশ্চিত করেছে হুথি সমর্থিত আল মাসিরাহ টিভি। গণমাধ্যমটি ১২টি বিমান হামলার খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা রেড সি’র উপকূলীয় শহরটিকে আঘাত হানে। এর কিছু ঘণ্টা আগে তারা এলাকাটি খালি করার সতর্কতা জারি করেছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র এভিচাই আডরায় এক বার্তায় বলেছেন, ‘আপনাদের নিরাপত্তার জন্য হোদেইদাহ বন্দরের সকল মানুষ এবং নোঙর করা জাহাজকে তাত্ক্ষণিকভাবে এলাকা ত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় হুথিরা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তারা রেড সি’র জাহাজ ও ইসরায়েল লক্ষ্য করে ড্রোন হামলাও চালিয়েছে।
প্রতিক্রিয়ায়, ইসরায়েল হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে এবং বেসামরিক এলাকা বোমাবর্ষণে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
গত দুই সপ্তাহে হৌথিরা লাল সাগরের উপকূলে অবস্থিত ইলাত শহরের রামন বিমানবন্দরে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে, যা দুইজনকে আহত করেছে। এই হামলার কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
গত বুধবার ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং আল-জওফ প্রদেশে ইসরায়েলের হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়। পরের দিন ইসরায়েলি সেনারা ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপিত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার কথা জানায়।
গত মাসের শেষের দিকে ইসরায়েল সানায় একটি বোমা হামলায় হুথি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাউইকে হত্যা করে। সংগঠনটি তার মৃত্যু এবং ক্যাবিনেটের প্রায় অর্ধেক সদস্যের মৃত্যুর জন্য ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পরে হুথির প্রধানমন্ত্রীর নাম শুক্রবার ঘোষণা করে।