
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ক্ষমতাসীন দল পিটিআই তাদের শীর্ষ নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিশাল সমাবেশ করেছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রদেশের রাজধানী পেশাওয়ারে শান্তিপূর্ণ এই সমাবেশে ইমরানের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক যোগ দেয়।
সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, সমাবেশ থেকে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান, তার স্ত্রী বুশরা বিবি এবং অন্যান্য দলীয় নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইমরান খানের ছবি ধরে কর্মীরা সমাবেশে তাদের নেতার মুক্তির জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। নেতারা জোর দিয়ে বলেন, তাদের সকলকে বেআইনিভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলী খান বলেন, গত বছর নির্বাচনী ম্যান্ডেট থেকে বঞ্চিত করার পর এটি দলের অষ্টম সমাবেশ। দল আশা করেছিল, কারচুপির নির্বাচনের পর বিচার বিভাগ তাদের ন্যায়বিচার প্রদান করবে, কিন্তু ২৬তম সাংবিধানিক সংশোধনী সেই আশাকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা এবং অন্যান্য নেতা-কর্মীদের কারাগার থেকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনগণের দাবি কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব সহকারে শোনা উচিত। ইমরানের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে, তা আসলে তার অনুসারীদের প্রতি অবিচার – যারা দেশের জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য দলটি সবখানে আওয়াজ তুলবে। তিনি কর্মী ও নেতাদের কণ্ঠস্বর দমন করার অপচেষ্টা বন্ধ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ, সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব এবং আইনের শাসনের জন্য আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ইমরান খান ঘোষণা করেছেন, অন্যান্য দলের নেতাদের মতো তিনি কখনো পাকিস্তান ত্যাগ করবেন না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দেশেই থাকবেন।
সমাবেশে পিটিআইয়ের প্রাদেশিক সভাপতি জুনায়েদ আকবর বলেন, জনগণের সমর্থনে ইমরান খান আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর – যারা পিটিআইয়ের নির্বাচনী ম্যান্ডেট চুরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের কর্মীদের প্রতিটি রক্তবিন্দুর জন্য আমরা জবাবদিহি করব।