
ইন্দোনেশিয়া সরকারের বিনামূল্যে বিতরণ করা স্কুলের খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ার দুটি ঘটনায় ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
একটি ঘটনায় ৫০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী প্রভাবিত হয়েছে। এটি প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর প্রধান এই কর্মসূচির অধীনে এখন পর্যন্ত ঘটা সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব।
ইন্দোনেশিয়ান-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সের মতে, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত খাবার খাওয়ার পর ৪ হাজারেরও বেশি শিশু খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এর দলে কর্মসূচির তদারকি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গারুত আঞ্চলিক সরকারের সচিব নুরদিন ইয়ানা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার পশ্চিম জাভা প্রদেশের অঞ্চলটিতে পাঁচটি স্কুলের ৫৬৯ জন শিক্ষার্থী মুরগি ও ভাত খাওয়ার পরের দিন বমি বমি ভাব অনুভব করে। এরপর শুক্রবার পর্যন্ত ১০ জন শিক্ষার্থী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্যরা সুস্থ হয়ে উঠেছে।
প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। বাকিদের বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ইয়ানা বলেন, স্থানীয় সরকার খাবার সরবরাহকারী রান্নাঘরের ওপর নজরদারি বাড়াবে। প্রোগ্রামটি বন্ধ করা হবে না বরং শিক্ষার্থীদের আপাতত রুটি, দুধ, সেদ্ধ ডিম এবং ফলমূলের মতো আরও মৌলিক খাবার দেওয়া হবে।
বুধবার মধ্য সুলাওয়েসি প্রদেশের বাঙ্গাই দ্বীপপুঞ্জে একই কর্মসূচির আরেকটি বিষক্রিয়ার ঘটনায় ২৭৭ জন শিক্ষার্থী আক্রান্ত হন। জাতীয় পুষ্টি সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘটনার পর অঞ্চলটিতে খাবার বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট প্রাবোওয়ের মুখপাত্র প্রাসেতিও হাদি শুক্রবার বলেছেন, সরকার বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য ক্ষমা চেয়েছে। অবশ্যই আমরা যা আশা করেছিলাম, তা হয়তো করতে পারিনি।