
ইউক্রেনের সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার আন্দ্রি পারুবিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লিভিভে এই ঘটনা ঘটে বলে সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।
এখনও যাচাই না করা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কুরিয়ারকর্মীর পোশাক পরিহিত এক বন্দুকধারী সড়কে হেঁটে পারুবির দিকে এগিয়ে আসেন। এরপর কাছ থেকে গুলি চালিয়ে পারুবিকে হত্যা করেন তিনি। পরে অস্ত্র হাতে হেঁটে চলে যান ওই হামলাকারী।
ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একে একটি ‘ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি নিহত পারুবির পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
৫৪ বছর বয়সী পারুবি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার পক্ষে কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে গণ–অভ্যুত্থান সংগঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দেন।
হত্যাকারীকে ধরতে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ ‘সাইরেন’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে জানান, অভিযানে প্রয়োজনীয় সব বাহিনী ও কৌশল মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউক্রেনের কৌঁসুলিদের মতে, হামলাকারী পারুবিকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এই অভিজ্ঞ রাজনীতিকের।
লিভিভের পুলিশপ্রধান আলেক্সান্দার স্লিয়াখোভস্কি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পারুবিকে আট দফা গুলি করা হয়েছে। খুব সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত ছিল এই হামলা।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা পারুবিকে স্মরণ করে বলেন, তিনি ছিলেন ‘একজন দেশপ্রেমিক ও রাষ্ট্রনায়ক,’ যিনি ইউক্রেনের মুক্তি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অমূল্য অবদান রেখেছেন। সিবিহার ভাষায়, পারুবি এমন একজন নেতা যিনি ইতিহাসের পাতায় যথাযথ স্থান পাবেন।
এদিকে ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো বলেন, পারুবির হত্যাকাণ্ড আসলে ‘ইউক্রেনের হৃদয়ে গুলি ছোড়া’র সমতুল্য।