
ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রিকেট ভেন্যুগুলোর একটি হেডিংলি। ১৩৫ বছরের পুরোনো এই মাঠ অনেক নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী। তবে সেখানে আজ ইংল্যান্ড দল যা করল, সেটিকে ‘হরর শো’ বা সিনেমার কোনো ভৌতিক দৃশ্যে সঙ্গে তুলনা করা যায়।
ওপেনার জেমি স্মিথের ফিফটিতে ১৭ ওভারেই ইংল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করলেও মুহুর্তেই পাল্টে যায় দৃশ্য। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড শেষ ৭ উইকেট হারায় মাত্র ২৯ রানে। আর তাতেই ১৩১ রানে অলআউট হয় দলটি, যা ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ইংলিশদের সর্বনিম্ন আর ৫০ বছরের মধ্যে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। দলটির শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ওপেনার জেমি স্মিথ ৫৪ রান করে দলের সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সহজেই লক্ষ্য তাড়া করে ৭ উইকেট ও ১৭৫ বল হাতে রেখে জয়ের মুখ দেখেছে। বলের হিসাবে এটি ইংলিশদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় বড় ব্যবধানে জয়। সবচেয়ে বড় জয়টা বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে ২০০৭ বিশ্বকাপে, ১৮৪ বল হাতে রেখে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ৩৩ বল দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা বোলার নির্বাচিত হন। তার বোলিং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন বোলিংয়ে সেরা পারফরম্যান্স হিসেবে রেকর্ড হয়েছে।
ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ফিফটি তুলে নেন এইডেন মার্করাম, যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকানদের সবচেয়ে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। বোলিংয়ে সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে অভিষিক্ত সনি বেকারের ওপর দিয়ে। তরুণ এই পেসার ৭ ওভারে দিয়েছেন ৭৬ রান, যা ওয়ানডে অভিষেকে কোনো ইংলিশ বোলারের সবচেয়ে খরুচে বোলিং। শুধু কি তাই? বেকারের ১০.৮৫ ইকোনমি রেটই এখন ওয়ানডে ইতিহাসে কমপক্ষে ৭ ওভার করা কোনো অভিষিক্ত বোলারের সর্বোচ্চ।
দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী বৃহস্পতিবার লর্ডসে অনুষ্ঠিত হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২৪.৩ ওভারে ১৩১ অলআউট (স্মিথ ৫৪, বাটলার ১৫; মহারাজ ৪/২২)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০.৫ ওভারে ১৩৭/৩ (মার্করাম ৮৬, রিকেলটন ৩১*; রশিদ ৩/২৬)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কেশব মহারাজ
সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ১–০ এগিয়ে