
২০২২ সালে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলাদেশ দল। নিজেদের প্রথম আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র জয় পেয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবারের আসরেও প্রত্যাশা খুব বড় ছিল না। দেশ ছাড়ার আগে টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেছিলেন, ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চান তারা। লক্ষ্য আগের আসরের চেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা।
টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গেল আসরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন পেসার মারুফা আক্তার। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল জ্যোতি বাহিনী। যদিও ম্যাচে চার উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগ্রেসরা। ইংলিশদের বিপক্ষে ইতিহাস গড়তে না পারলেও সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের শিবিরে কাপুনি ধরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। যেখানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেছিলেন ফাহিমা খাতুন।
তবে এই ম্যাচে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত, যদি কিনা ইনজুরি নিয়ে মাঠ না ছাড়তেন দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মারুফা আক্তার। ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাতটাও এনেছিলেন এই টাইগ্রেস পেসার। তবে পাঁচ ওভার বল করে পায়ে পেশিতে টান লাগার কারণে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তখন থেকে টাইগ্রেস সমর্থকদের মনে শঙ্কা জেগেছিল, পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারবেন কিনা মারুফা।
টিম সূত্রে জানা যায়, মারুফার চোখ গুরুত্বর নয়, আগামীকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার মতো সুস্থ আছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ না জিতলেও এমন পরাজয় টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলে মনে করেন ফাহিমা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছি। সেই অর্থে, আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আজ (মঙ্গলবার) আমরা ২০-৩০ রানে পিছিয়ে ছিলাম। (কিন্তু) যদি আমরা এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি, তাহলে (প্রতিটি) দল আমাদের সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে নিতে পারবে না।’