
নিম্ন র্যাংকিং ও স্বল্প বাজেটের আন্তর্জাতিক দলগুলোর জন্য আয়োজন করা দ্বিবার্ষিক টুর্নামেন্ট ‘ফিফা সিরিজ’ ২০২৬ সাল থেকে আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতার নারী সংস্করণ চালুর ঘোষণা দিয়েছে ফিফা।
২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত ২৪ দেশের প্রথম সংস্করণে কিছু ম্যাচে দর্শকসংখ্যা কম থাকলেও কয়েকটি খেলায় ছিল উল্লেখযোগ্য সাড়া। বিশেষ করে কায়রোতে মিশর–ক্রোয়েশিয়া ফাইনালে ৮৫ হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিত ছিল, যেখানে মিশর ৪–২ গোলে হারে।
ফিফা জানায়, ২০২৬ সালের বড় পরিসরের পুরুষ টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দেশগুলো হবে অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, মরিশাস, পুয়ের্তো রিকো, রুয়ান্ডা এবং উজবেকিস্তান। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর চূড়ান্ত তালিকা আগামী বছরের শুরুতেই ঘোষণা করা হবে। নারী দলগুলোর জন্য নতুন সংস্করণ অনুষ্ঠিত হবে ব্রাজিল, আইভরি কোস্ট ও থাইল্যান্ডে।
কম শক্তিশালী ফুটবল দেশের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে খেলার সুযোগ তৈরি করাই সিরিজের মূল উদ্দেশ্য। ফিফা জানায়, এতে দলগুলোর ভ্রমণ, আবাসন ও অন্যান্য লজিস্টিক ব্যয়ের বড় অংশ সংগঠনটি বহন করবে।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ফিফা সিরিজের লক্ষ্য হলো খেলোয়াড়, কোচ ও দর্শকদের উন্নয়নের সম্ভাবনা উন্মোচন করা এবং অর্থবহ ম্যাচের মাধ্যমে ফুটবলের বিশ্বব্যাপী বৈচিত্র্য ও সার্বজনীনতাকে এগিয়ে নেওয়া।’
পরবর্তী সংস্করণের পরিকল্পনা স্বাগত জানিয়ে ফুটবল অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সিইও হেদার গ্যারিওক বলেন, ‘এই ম্যাচগুলো ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে কমব্যাঙ্ক সকারুজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।’
সিরিজের প্রতি আগ্রহের বৈচিত্র্যও স্পষ্ট হয়েছে পূর্বের আসরে। উদাহরণ হিসেবে ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কায় সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও পাপুয়া নিউগিনির ম্যাচটি মাত্র ৫৫০ দর্শক মাঠে বসে দেখেছিলেন; সেখানে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ৪–০ গোলে জেতে