
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ‘লাতিন-বাংলা সুপার কাপ’ আয়োজন করেছে এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। তবে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে নানা অব্যবস্থাপনা, আর্থিক অনিয়ম এবং সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়েছে আয়োজকরা। ধারাবাহিকভাবে একের পর এক ঘটনার পর ১১ ডিসেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশে জাতীয় স্টেডিয়ামের বরাদ্দ বাতিল করে।
কারণ, আয়োজকরা ভঙ্গ করেছে একাধিক শর্ত। সেই সঙ্গে টিকিট বিক্রির ৫০ শতাংশ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া, স্পন্সর ও সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে গোপনীয়তা এবং খেলা শেষে মাঠের পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখার অভিযোগ অন্যতম। যার কারণে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাবের মধ্যকার হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি হচ্ছে না।
দুই দলের ম্যাচ বাতিল নিয়ে গতকাল এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে আয়োজক সংস্থাটি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিশ্ব জুড়ে যারা অ্যাটলেটিকো শার্লিন (আর্জেন্টিনা) বনাম সাও বার্নার্ডো (ব্রাজিল) ম্যাচটি দেখার জন্য আগ্রহী ছিলেন, তাদের সবার কাছে আমরা আন্তরিকভাবে
ক্ষমা চাইছি। জাতীয় স্টেডিয়ামে এই ঐতিহাসিক ম্যাচটি আয়োজনের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তা সম্পন্ন করতে পারিনি।’
ম্যাচটি আয়োজন না করতে পারার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, বড় ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি, পরিচালনাগত ত্রুটি ও স্পনসরশিপ ও চূড়ান্ত আর্থিক ব্যাকিং না পাওয়াকে। তবে এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে আরও বড় কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। সেই সঙ্গে যারা আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ক্লাবের মধ্যেকার ম্যাচের টিকিট ক্রয় করেছেন, তাদের অর্থও দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
আজ শনিবার ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও টিকিট বাতিল করায় খেলোয়াড়দের দেশে ফেরাও এখন অনিশ্চিত। আয়োজক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের ট্রাভেল পার্টনার ৩ কোটি টাকার বিল পাওনা থাকলেও পুরো টাকা এখনো পরিশোধ হয়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।