
কানাডা প্রবাসী সামিত সোম বাংলাদেশের পাসপোর্ট গ্রহণ করে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচেই তিনি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। কানাডার লিগে খেলেন তিনি। প্রবাসী যে কয়জন ফুটবলার রয়েছেন তাদের মধ্যে সামিত সোম প্রথম থেকেই নিজের জায়গা পাকা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে।
পরশু হংকংয়ের বিপক্ষে ৭৫ মিনিটে নেমে ইনজুরি টাইমে গোল করে বাংলাদেশকে সমতায় (৩-৩) ফিরিয়ে ছিলেন। কিন্তু ম্যাচটা হেরে যাওয়ায় মনটা ভেঙে গেছে সামিতের। বলছিলেন তিনি নিজে গোল না করলেও খুশি হতেন, যদি ম্যাচটা জিতত কিংবা ড্র হতো। সামিতের কথায় বুঝায় তিনি কানাডায় থাকলেও বাংলাদেশের প্রতি তার ভালোবাসা রয়েছে।

বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রথম গোল করলেন, তবু বলছেন নিজে গোল না করে যদি বাংলাদেশ ম্যাচ জিততো, তাহলে তিনি আরও খুশি হতেন। এটাই সবার দলের মাইন্ডসেট, দেশকে জেতানো। খুব কঠিন সময়ে গোল করেছেন। যখন বাংলাদেশ ৩-২ গোলে হংকংয়ের বিপক্ষে হারতে যাচ্ছিল। সেই মুহূর্তে মোরসালিনের কর্নার থেকে মাথা লাগিয়ে গোল করেছেন সামিত। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত এটি। আমি এই ফিলিংটা কখনো ভুলব না। বাংলাদেশের হয়ে গোল করতে পারাটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। গোল যদি না দিতাম, বাংলাদেশ যদি জিতত আরও খুশি হতাম। মনটা খারাপ, জিততে পারলাম না।’
৯৮ মিনিটে গোল করেছেন সামিত সোম। গোলের আনন্দের যখন বাংলাদেশের দর্শক আনন্দে, তখনই চতুর্থ গোল হজম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আক্ষেপ সামিতের কণ্ঠে। মঙ্গলবার হংকংয়ের মাটিতে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ। ফিরতি ম্যাচে সামিত একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে লড়াই করবেন। ঢাকায় হংকংয়ের শতাধিক দর্শক ছিল। হংকংয়ের মাটিতে পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে থাকবে তাদের নিজেদের সমর্থক। বাংলাদেশের সমর্থক কমই থাকবে।

তবে সামিত জানিয়ে গেছেন হংকং নিজেদের মাঠে আওয়াজ তুলবে খেলতে দেবে না। সেই আওয়াজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব পড়বে না বলে ঢাকায় জানিয়েছেন সামিত। তিনি বলেছেন, ‘সাউন্ডে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ বাংলাদেশের ২৫ হাজার দর্শক লাখো দর্শকের মতো সাউন্ড দিয়েছেন মাঠে। অতএব হংকংয়ে সমস্যা হবে না।’