
দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সৌদ বিন আব্দুলরহমান আল থানির সঙ্গে কথা বলেছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার মেজর জেনারেল আবদোলরহিম মুসাভি।
বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, আলোচনায় মুসাভি বলেছেন, কাতারের সরকার, জাতি এবং সশস্ত্র বাহিনীকে জানা উচিত যে, ইরানি জনগণ এবং সেনাবাহিনী শেষ পর্যন্ত তাদের পাশে থাকবে।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো দোহায় বোমা হামলা চালিয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য সর্বশেষ মার্কিন প্রস্তাব পর্যালোচনা করতে জড়ো হওয়া হামাস নেতাদের হত্যার চেষ্টায় এই হামলা চালানো হয়।
মেজর জেনারেল মুসাভি বলেন, ইরান কাতারের মাটিতে ইসরায়েলি সরকারের আক্রমণের স্পষ্ট নিন্দা জানায়, যেমনটি আক্রমণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছিলেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের সামরিক বাহিনী কাতারকে সমর্থন করতে দ্বিধা করবে না।
দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইরান তার শত্রুদের, বিশেষ করে ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার মুখোমুখি হওয়ার পর কাতারকে পরিত্যাগও করবে না।
ইরানি কমান্ডার বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দখল, দমন এবং হত্যার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন, সেই সঙ্গে অন্যান্য দেশে আগ্রাসন ইসরায়েলি শাসনকে দুঃসাহসী করে তুলেছে। ওয়াশিংটনের সবুজ সংকেত ছাড়া কাতারের ওপর আক্রমণ সম্ভব ছিল না।
মুসাভি জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন ছাড়া ইসরায়েল তার অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারবে না।
তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আল থানিকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
এ সময় ইরানের সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আল থানি বলেন, ইসরায়েলি সরকার কোনো নিয়ম বা নীতি মেনে চলে না এবং সাম্প্রতিক ঘটনাটি সমস্ত রেড লাইন, আন্তর্জাতিক মান এবং কূটনৈতিক প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে।
তিনি আরও বলেন, গাজা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাতারের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে।