
আফগানিস্তানে অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে ৯৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালে আফগানিস্তানে ডায়রিয়া ও অন্যান্য পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গেছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৯৭ হাজার ২৪ জন।
আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নেমাত হোসনাইন বলেন, ‘গড় হিসেবে বলা যায় গত বছর প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছে ১৫৯ জন। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর মৃত্যু হয়েছে ১৪৭ জন রোগীর।’
মূলত খাবার ও পানিতে দূষণ এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আচার, মসলা, বাজারে খোলা অবস্থায় বিক্রি হওয়া খাবার, শিশুখাদ্যসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য এই মহামারি অবস্থার জন্য দায়ী।’
মন্ত্রণালয়ের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ হামেদ বলেন, ‘খাদ্য নিরাপদ না হলে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ তো হবেই, ক্যানসার হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। অনিরাপদ খাদ্য অনেক সময় মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়।’
আফগান সরকারের খাদ্য নিবন্ধন ও লাইসেন্স বিভাগের পরিচালক ওয়ালি আদেল মনে করেন, দেশে দূষণমুক্ত নিরাপদ খাদ্যের জন্য একটি কার্যকর খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থা থাকা জরুরি।
টোলো নিউজকে তিনি বলেন, ‘একটি কার্যকর খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা একদিকে যেমন দেশের অভ্যন্তরে খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে পারবে, অন্যদিকে তেমনি বিদেশে খাদ্য রপ্তানির জন্যও খুব সহায়ক হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, অনিরাপদ খাবার ও পানি গ্রহণের কারণে বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর মৃত্যু হয় ৬০ কোটি মানুষের।