
এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের ইচ্ছা নিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ে শুভসূচনা করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে ধাক্কা খায় লাল-সবুজের দল। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এর আগে দেশের বাইরে পাঁচবার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। একবারও জয়ের মুখ দেখেনি টাইগাররা। এবারের জয় তাই ঘরের বাইরে আফগানদের বিপক্ষে প্রথম সাফল্য। ম্যাচের নায়ক ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ, যিনি ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। ডু অর ডাই ম্যাচে এমন সাফল্যকে বিশেষভাবে দেখছেন তিনি।
আবুধাবি থেকে দুবাই যাওয়ার আগে নাসুম বলেছেন, ‘এর আগেও ম্যাচজয়ী পারফর্ম করেছি। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা একটু বেশি স্পেশাল, কারণ ম্যাচটা ছিল ডু অর ডাই। এজন্য জয়টা আলাদা।’ আজকে রাত সাড়ে ৮টায় শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে নাসুমের মন্তব্য, ‘যারা ভালো খেলবে ওরাই জিতবে। নির্দিষ্ট করে কাউকে সাপোর্ট বা দোয়া করার কিছু নেই। যা কপালে লেখা আছে তাই হবে।’
এমন ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সের পরও আগের দুই ম্যাচে একাদশে ছিলেন না তিনি। এ নিয়ে নাসুমের ব্যাখ্যা, ‘আমার টিমের যখন যাকে প্রয়োজন, তখন সেই অনুযায়ী একাদশ করা হয়। এটা টিম প্ল্যানিং বা ট্যাকটিক্স হতে পারে। তবে সবশেষ ম্যাচেও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলাম।’
এদিকে বাংলাদেশের এই জয়ে খুশি সাবেক পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার রমিজ রাজা। তিনি বলেছেন, ‘মাস্ট উইন ম্যাচে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছে। এ ধরনের ম্যাচের চাপ অন্যরকম হয়। নাসুম দারুণ বোলিং করেছে, গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট নিয়েছে। আতাল আর জাদরানকে আউট করার পরই আফগানিস্তানের জন্য ম্যাচ কঠিন হয়ে যায়।’
ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ফর্মহীনতা কাটিয়ে ওঠা প্রসঙ্গে তামিম বলেছেন, ‘আমি কখনো এভাবে ভাবি না। প্রতিটি ম্যাচে চেষ্টা করি দলের জন্য অবদান রাখতে। যা হয়ে গেছে সেটা পাস্ট, প্রতিদিনই নতুনভাবে চেষ্টা করি।’
পাওয়ার প্লেতে ৫৯ রান তোলে বাংলাদেশ। দারুণ শুরুতে ভর করেই এগিয়ে যায় দল। এ নিয়ে তামিম বলেছেন, ‘উইকেটটা ড্রাই ছিল। আমাদের মধ্যে যোগাযোগ ভালো ছিল। প্রথম ২-৩ ওভার কীভাবে খেলব সেটা প্ল্যান করেছিলাম। পরে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি আসায় পাওয়ার প্লেটা ভালো হয়েছে।’
নিজের ব্যাটিং মানসিকতা নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল। দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করতে পেরেছি। সব সময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম পাওয়ার প্লেতে রিস্ক নিতে হয়, তাই সুযোগ পেলে বাউন্ডারির জন্য যাই।’
আবুধাবি থেকে ইতিমধ্যে দুবাইয়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। সুপার ফোরে জায়গা করে নিতে পারলে এখানেই বাকি ম্যাচগুলো খেলবে টাইগাররা। তবে পরবর্তী ধাপ মিস করলে সেখান থেকেই দেশে ফিরতে হবে লাল-সবুজ বাহিনীকে। ক্রিকেটারদের চোখেমুখে অবশ্য সুপার ফোরে ওঠার প্রত্যাশাই স্পষ্ট।