
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর সাবেক পরিচালক জেমস কোমি কংগ্রেসে মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও ন্যায়বিচারে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ভার্জিনিয়ার আলেক্সান্দ্রিয়া ফেডারেল আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে হাজিরা দেন তিনি।
শুনানিতে কোমির আইনজীবী প্যাট্রিক ফিটজজেরাল্ড জানান, তার মক্কেল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই এই মামলা করা হয়েছে।’
কোমির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। একটি—মিথ্যা বিবৃতি এবং অপরটি—ন্যায়বিচারে বাধা সৃষ্টি। গ্র্যান্ড জুরি তিনটি অভিযোগ বিবেচনায় নিলেও আদালতে চলমান মামলার জন্য কেবল দুটি অভিযোগকেই যথেষ্ট প্রমাণযোগ্য বলে মত দেয়।
এই মামলাটি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম ফৌজদারি অভিযোগ, যা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থার ব্যবহার নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসে দেওয়া সাক্ষ্যে সংবাদমাধ্যমে শ্রেণিবদ্ধ তথ্য ফাঁসের অনুমোদন বিষয়ে মিথ্যা বলার অভিযোগ রয়েছে কোমির বিরুদ্ধে। তবে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখার কথা বলেন।
কোমির বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি। মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি লিন্ডসে হ্যালিগান, যিনি এক সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী ছিলেন।
এফবিআই-এর ইতিহাসে কোমিই প্রথম সাবেক পরিচালক, যার বিরুদ্ধে এমন ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।