
বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘হ্যারিকেন মেলিসা’-র প্রভাব ইতিমধ্যেই ক্যারিবীয় অঞ্চলে দেখা দিতে শুরু করেছে। জ্যামাইকায় ঝড় আঘাত হানার প্রাক্কালেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আগেই প্রাণহানির এই ঘটনাগুলো ঘটেছে।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে মন্ত্রণালয় জনগণকে চরম সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
তারা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ছাদের ওপর ওঠা, বালুর বস্তা জড়ো করা বা গাছ কাটার মতো কাজগুলো আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও, সামান্য ভুলও মারাত্মক আঘাত বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মন্ত্রণালয় আরও সতর্ক করেছে যে, জলমগ্ন সড়ক বা আবর্জনাপূর্ণ এলাকায় গাড়ি চালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক। বর্তমানে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকলেও হাসপাতালগুলো খোলা আছে এবং ঘূর্ণিঝড়-সংক্রান্ত আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছে।
জ্যামাইকার পানি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ম্যাথিউ সামুদা বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের ‘নিউজডে’ অনুষ্ঠানে দেশের পরিস্থিতিকে ‘ভীতিকর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি জানান, জ্যামাইকার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ সমুদ্র থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী অঞ্চলে বাস করে— ফলে রাজধানী কিংস্টন, ওল্ড হারবার বে, রকি পয়েন্ট এবং সেন্ট এলিজাবেথসহ নিচু উপকূলীয় এলাকা সরাসরি আঘাতের মুখে পড়তে পারে।
মন্ত্রী বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে কর্তৃপক্ষ দ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্রের তথ্য জানিয়ে আসছে এবং বন্যার ঝুঁকি মোকাবিলায় ঘরবাড়ি সুরক্ষায় বালুর বস্তা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।
তবে তিনি স্বীকার করেন, অনেক বাসিন্দা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনিচ্ছুক।
সামুদা বলেন, অনেকেই নিজেদের জীবন রক্ষার চেয়ে সম্পত্তি বাঁচানোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন— যা কর্তৃপক্ষের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়।