
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স পিঠের চোট থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম অ্যাশেজ টেস্টে খেলতে পারছেন না। ফলে আগামী মাসে পার্থে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে ফিরছেন স্টিভ স্মিথ।
গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর থেকে কামিন্স আর বল হাতে নেননি। সেই সময় থেকেই তার অংশগ্রহণ নিয়ে সন্দেহ ছিল। অবশেষে সোমবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত করেছে, পিঠের স্ট্রেস ইনজুরির কারণে কামিন্স পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামে ২১ নভেম্বর শুরু হওয়া ম্যাচে খেলবেন না।
৩২ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলারের অনুপস্থিতি দলটির জন্য বড় ধাক্কা। বল হাতে তার দক্ষতা ও নেতৃত্ব মাঠে বিশেষ ভূমিকা রাখে, যা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ ধরে রাখার প্রচেষ্টা কঠিন হয়ে পড়বে।
তবে কামিন্স ইতোমধ্যে দৌড় অনুশীলনে ফিরেছেন এবং খুব শিগগিরই বোলিং শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। যদিও তিনি পুরোপুরি ফিট হয়ে কবে ফিরবেন, সেটি এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। কোচ আশাবাদী, কামিন্সকে ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই পাওয়া যাবে।
ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘তাকে আবার ম্যাচের উপযোগী করতে চার সপ্তাহের বেশি সময় লাগে। আমরা সময় হারিয়েছি, কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের জন্য আমরা আশাবাদী। এই সপ্তাহেই তিনি বোলিং শুরু করবেন, সেটাই বড় পদক্ষেপ। আমরা সেই দিকেই এগোচ্ছি।’
কামিন্স আগেই জানিয়েছিলেন, মাঠে ফেরার আগে অন্তত চার সপ্তাহ পূর্ণ বোলিং অনুশীলন করতে চান। সেই হিসেবে ৪ ডিসেম্বর গাবায় শুরু হতে যাওয়া দিন–রাতের টেস্টটি তার ফেরার উপযুক্ত সময় হতে পারে।
কামিন্সের অনুপস্থিতিতে স্মিথের নেতৃত্বে ফিরছেন অস্ট্রেলিয়া। ২০১৮ সালের ‘স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারি’র পর অধিনায়কত্ব হারানো স্মিথ ২০২১ সালে কামিন্স দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তত ছয়বার সহ-অধিনায়ক হিসেবে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অধিনায়ক থাকাকালীন তার ব্যাটিং গড় ৬৮.৯৮, যা নেতৃত্ব ছাড়া সময়ে ছিল ৪৯.৯।
অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘আমরা এখন স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বে যাচ্ছি। এমন অভিজ্ঞ একজন অধিনায়ক পাওয়া আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। কামিন্সও দলের সঙ্গে পার্থে থাকবেন, এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।’
নিউইয়র্কে ছয় সপ্তাহ কাটিয়ে দেশে ফিরে স্মিথ নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে শেফিল্ড শিল্ডে দুই ম্যাচ খেলবেন অ্যাশেজের প্রস্তুতি হিসেবে। তিনি এই সপ্তাহে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে গাবায় নামবেন, এরপর ১০ নভেম্বর সিডনিতে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে খেলবেন।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ দল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে কামিন্স না থাকায় পেসার স্কট বোল্যান্ডের জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তিনি প্রথম টেস্টে জশ হ্যাজলউড ও মিচেল স্টার্কের সঙ্গে পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
৩৫ বছর বয়সী বোল্যান্ড টেস্ট দলে নিয়মিত সুযোগ না পেলেও যখনই খেলেছেন, দারুণ পারফর্ম করেছেন। এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্টে তিনি ৬২ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৬.৫৩ গড়ে।
ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘স্কট বোল্যান্ড যদি কামিন্সের বদলি হন, সেটাও খারাপ কিছু নয়। বরং কামিন্স যখন পুরোপুরি ফিট হয়ে ফিরবেন, সেটি দলের জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি হবে।’