
গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমিনের ৭২তম জন্মদিন আজ। ১৯৫৪ সালের আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ সংগীত জীবনে প্রায় ১০ হাজার গান গেয়েছেন বাংলা গানের এ কিংবদন্তি শিল্পী।
সাবিনা ইয়াসমিন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে উচ্চাঙ্গ, ধ্রুপদী, লোকসঙ্গীত ও আধুনিক বাংলা গানসহ বিভিন্ন ধারার নানান আঙ্গিকের সুরে গান গেয়ে নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি অর্জন করেছেন ১৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ৬টি বাচসাস পুরস্কার।
শিল্পকলার সঙ্গীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
এহতেশামের নতুন সুর (১৯৬২) চলচ্চিত্রে রবীন ঘোষের সুরে প্রথম শিশু শিল্পী হিসেবে গান করেন সাবিনা।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে আমজাদ হোসেন ও নুরুল হক বাচ্চু পরিচালিত আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে আলতাফ মাহমুদের সুরে ‘মধুর জোছনা দীপালি’ গান গাওয়ার মাধ্যমে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই গানের জন্য তিনি ৫০০ টাকা সম্মানী পান।
এরপর আলতাফ মাহমুদের সুরে তিনি মাহমুদুন্নবীর সাথে ‘একটি পাখি দুপুরে রোদে’ গানে কণ্ঠ দেন।
এই সময়ে তিনি মাহমুদের সুরে আনোয়ারা (১৯৬৭), নয়নতারা (১৯৬৭) ও টাকা আনা পাই (১৯৭০) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। পাশাপাশি তিনি ফেরদৌসী রহমান, আঞ্জুমান আরা বেগম ও অন্যান্য শিল্পীদের নেপথ্যে কোরাসে অংশ নিতেন। এই সময়ে খান আতাউর রহমানের সুরে জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০) চলচ্চিত্রে তার গাওয়া ‘একি সোনার আলোয়’ গানটি শ্রোতাপ্রিয় হয়।
গান গাওয়ার জন্য সাবিনা ইয়াসমিন বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন যেমন ইংল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, হংকং, আমেরিকা, বাহরাইন ইত্যাদি। এছাড়া ভারত, পাকিস্তানে তিনি অনেকবার ভ্রমণ করেছেন।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন। সাবিনা ইয়াসমিন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘উল্কা’ নামের সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন কিংবদন্তি এই শিল্পী।