
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন। সেখানে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও তামিম ইকবাল। এর মধ্যে তামিম ও বুলবুলের নজর রয়েছে সরাসরি বিসিবির সভাপতির চেয়ারে।
গতকাল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছিলেন তামিম ও বুলবুল। হাসিমুখে গল্প করতে করতে দুজনই ঢুকেছেন ভোটকেন্দ্রে।
ভোটের মাঠে দুজনে মুখোমুখি থাকলেও গতকাল তামিম ও বুলবুল ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। হাতে হাত রেখে দুজনে হেঁটেছেন একই পথে। বিসিবিতে নির্বাচিত হলেও হয়তো তারা সেটি করবেন। বর্তমান সভাপতি বুলবুল তো সেকথা জানিয়েই দিয়েছেন, ‘সবার প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে। তাদের জন্য সহযোগিতা থাকবে। এখানে আমরা সবাই এসেছি ক্রিকেটের কাজে। দিন শেষে ক্রিকেটকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো।’
তামিমও তাই চান, ক্রিকেটের কাজে, ক্রিকেটারদের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে। আপাতত সেই নির্বাচন নিয়েই নিজেকে শক্ত অবস্থানে রেখেছেন। সেজন্য কোয়াবের নির্বাচনেও অংশ নেননি। কোয়াব নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তামিম বলেছেন, ‘আমি শিউর, আপনারা জানেন কেন আসিনি। সামনে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
কোয়াবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিসিবির নির্বাচনে অংশ নিলে কোয়াবের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যায় না। এ কারণেই পরিষ্কার হয়েছে, বিসিবির নির্বাচনের মাধ্যমে অভিভাবকের ভূমিকায় আসতে চাইছেন তামিম। গতকাল ভোট গ্রহণের পরিবেশ নিয়ে তামিম বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে ক্যারিয়ারের শেষ ১৫-১৬ বছরে এটা দেখিনি। সিনিয়র ও জুনিয়র সবাই মিলে দারুণ এক উৎসবের মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখন কঠিন কাজ শুরু হবে-রিফর্ম, নির্বাচন আর নতুন কমিটি নিয়ে কাজ করা।’
রানিং ক্রিকেটারদের সংগঠনে আসা প্রসঙ্গে তামিমের মত, ‘কোয়াবের ৯৫ শতাংশ কাজই বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়ে। পেমেন্ট, সুবিধা-সবচেয়ে বেশি ওরাই বোঝে। তাই ওদের মধ্য থেকে কেউ নেতৃত্বে এলে আমি ইতিবাচকভাবে নেব। এক্স ক্রিকেটাররাও সমান গুরুত্বপূর্ণ, তবে কারেন্ট ক্রিকেটাররা এগুলো বেশি ভালো বুঝতে পারে।’
তামিমের সে প্রত্যাশা পূরণও হয়েছে। তরুণ ক্রিকেটাররাই এসেছেন নেতৃত্বে। পরিবর্তন নিয়ে তার প্রত্যাশা জানাতে গিয়ে তামিম বলেছেন, ‘আসলে যদি বিসিবি ক্রিকেটারদের সঠিকভাবে দেখে, তাদের প্রাপ্য সুবিধা দেয়, তাহলে কোয়াবের আলাদা কাজ করার দরকার পড়বে না। বোর্ড যদি দায়িত্ব পালন করে, ক্রিকেটারদের কোনো অভিযোগও থাকবে না।’
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সমস্যা অবশ্যই আছে। তবে শুধু সমস্যা নয়, অনেক কিছু সঠিক জায়গায় আনতে হবে। আমরা অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিই, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কাজ করি না। এখন সময় এসেছে সেগুলোতে মনোযোগ দেওয়ার।’