Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

অপরাধ দমনে জীবন বাজি রেখে লেগুনায় টহল দিচ্ছে পুলিশ

অপরাধ দমনে জীবন বাজি রেখে লেগুনায় টহল দিচ্ছে পুলিশ অপরাধ দমনে জীবন বাজি রেখে লেগুনায় টহল দিচ্ছে পুলিশ
অপরাধ দমনে জীবন বাজি রেখে লেগুনায় টহল দিচ্ছে পুলিশ


রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশের তীব্র যানবাহন সংকট। অপরাধ দমনে জীবন বাজি রেখে লেগুনা বেবিট্যাক্সিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। গত বছর সারা দেশে পুলিশের দুই সহস্রাধিক গাড়ি ভাঙচুর ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

রাজধানীতে কয়েক শতাধিক পুলিশের গাড়ি নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে মেরামত করা হয়েছে ১৭৫টি। মেরামতের অনুপযোগী গাড়ি শতাধিক। এগুলো আর মেরামত করা যাবে না। এতে দীর্ঘদিনের যে সংকট তা আরো প্রকট আকার ধারণ করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দুই শতাধিক গাড়ি কেনার প্রস্তাব আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতা ও মারপ্যাঁচে আটকে আছে।

Advertisement

পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, যানবাহনের অভাবে যথাযথ নাগরিক সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাহত হচ্ছে থানা পুলিশের টহলসহ নিয়মিত কাজ। এমনকি অপরাধের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেও পারছে না লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি নিয়ে। পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের কাজও ব্যাহত হচ্ছে প্রয়োজনীয় যানবাহন না থাকায়। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার যানবাহন সংকট নিয়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে পুলিশ বাহিনীকে। এতে রেসপন্স টাইম বেশি লাগার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমও ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন বাহিনীর সদস্যরা। সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি বিশেষজ্ঞদের।

পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বাহিনীতে ৪ হাজার ৪৪৭টি যানবাহনের ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৪৯৭টি মোটরসাইকেলের ঘাটতি। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পুলিশের প্যাট্রল ডিউটিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় এ বাহনটিই। ঘাটতি রয়েছে ডাবল কেবিন পিকআপেরও, যা দিয়ে টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জরুরি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ধরনের গাড়ির সংকট মোট ৫০৭টি। মোটরসাইকেল ও ডাবল কেবিন পিকআপের পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীতে ঘাটতি রয়েছে সর্বমোট ৪৪৩টি এসইউভি (স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিক্যাল) বা জিপ গাড়িরও। এসইউভি বা জিপ শ্রেণির গাড়িগুলো সাধারণত এএসপি থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবহার করে থাকেন, যারা মূলত জেলা বা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা এবং অভিযানের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকেন।

ঢাকার বাইরের ১০টা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, বিদ্যমান যানবাহন দিয়ে বর্তমানে থানাগুলোর রুটিন ডিউটি পালন করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও ডাবল কেবিন পিকআপ সংকটের কারণে প্যাট্রল ডিউটি পরিচালনায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মফস্বল এলাকায় কোথাও অপরাধ সংঘটিত হওয়ার খবর পেলে প্রথমে মোটরসাইকেল নিয়ে সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) এবং কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) বা পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা কনস্টেবল সঙ্গে নিয়ে ছুটে যান ঘটনাস্থলে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাবল কেবিন পিকআপ গাড়ি সংকটের কারণে অনেক ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজন হলেও অভিযান পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ রোধে সবসময়ই সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় একাধিক পুলিশ টিমকে টহলে থাকতে হয়। যে কোনো অপরাধ বা দুর্ঘটনার খবরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ থানায় যানবাহন সংকট থাকায় এ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

রাজধানীর তেজগাঁও জোনের একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যেসব থানায় গাড়ি ছিল সাত-আটটি, সেখানে এখন আছে দুই-তিনটি। ফলে আমাদের কাজে বিঘ্ন তো হবেই। গাড়ির প্যাট্রল ডিউটি এখন সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ ঘাটতি আমরা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। তাই মোটরসাইকেল দিয়ে টিম করে ডিউটির কাজ চলছে। এর জন্য অবশ্য রেসপন্স টাইম বেশি লাগছে। আগে যেখানে খবর পাওয়ার ৭-১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যেত, এখন সেটা ২০ মিনিট ছাড়িয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাড়া দিতে আধা ঘণ্টাও সময় লাগছে। এর প্রধান কারণ হলো গাড়ি-সংকট।’

মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধের মাত্রা বেশি কেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বমহলে। ডিএমপির তেজগাঁও জোন এলাকায় গত ৯ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৬ হাজার ৪৫২টি মামলা হয়েছে। শুধু মোহাম্মদপুর থানায় হয়েছে ২ হাজার ৮৪২টি মামলা। তেজগাঁও, শেরে বাংলা নগর, মোহাম্মদপুর, আদাবর, শিল্পাঞ্চল, হাতিরঝিল নিয়ে পুলিশের তেজগাঁও জোন। এই জোনে অপরাধ বেশি হওয়ার দিক থেকে এক নম্বরে মোহাম্মদপুর। সরেজমিন মোহাম্মদপুরে গিয়ে এবং ঢাকার বাইরে আরো ১০টি থানার তথ্য নিয়ে দেখা গেছে, কেন পুলিশের অপরাধ দমন দৃশ্যমান হচ্ছে না। পুলিশ বলছে, আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। তবে পরিবহন সংকটের কারণে দায়িত্ব পালন বিঘ্নিত হচ্ছে।

পুলিশের দুই জন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন ভাড়া করা লেগুনা বেবিট্যাক্সিতে করে দায়িত্ব পালন করছি। এসব গাড়ি দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যায় না। লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। পুলিশের গাড়ি দুর্বল। তারা বলেন, পৃথিবীতে দুটি শ্রেণিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এক পুলিশ, দুই শিক্ষক। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে উন্নয়নসহ সব কিছু নির্ভরশীল। দ্বিতীয়ত হলো, মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, ভাঙাচোরা গাড়ি দিয়ে চলি, এতে আমাদের নিরাপত্তা নেই। আমরা মানুষের নিরাপত্তা দেব কীভাবে? সারা দেশে অপরাধ বাড়ছে, পুলিশ গ্রেফতারও করছে। সেনাবাহিনীর বড় ধরনের সাপোর্ট আছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বয়ং নিজেই প্যাট্রল গাড়ি কেনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এখনো পর্যন্ত একটা গাড়িও কেনা হয়নি। থানার ওসিরা বলেন, থানায় টহল দেওয়ার গাড়ি নেই। একটা বেবিট্যাক্সি দিয়ে তিন জন পুলিশকে পাঠানো হয়। এই তিন জন পুলিশ দিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। অপরাধীদের যানবাহন অত্যাধুনিক। এ কারণে রাতের বেলায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। যেখানে প্রয়োজন বেশি সেখানে পুলিশ টহল দেয়। দুর্গম এলাকা ও নিয়মিত হাইওয়েতে টহল দেওয়া সম্ভব হয় না। মানুষের যানমালের নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে গাড়ি দিতে হবে।

ডিএমপির তেজগাঁও জোনের উপপুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধীদের সংখ্যা বেশি। নানা পেশার মানুষ থাকে। বিভিন্ন জেলা থেকে নদীভাঙনের শিকার লোকজন আসে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করছে। তেজগাঁও জোনের ছয়টা থানা এলাকায় সেনাবাহিনীর সহায়তা অভিযান অব্যাহত আছে।





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
‘দিদি ৬ মাস আওয়ামী লীগ, ৬ মাস বিএনপি’

‘দিদি ৬ মাস আওয়ামী লীগ, ৬ মাস বিএনপি’

Next Post
মধ্যপ্রাচ্য রুটে বিমানের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিপাকে প্রবাসীরা

মধ্যপ্রাচ্য রুটে বিমানের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিপাকে প্রবাসীরা

Advertisement