
দেশ জুড়ে আইনবহির্ভূত, অননুমোদিত, ধ্বংসাত্মক, ক্ষতিকর এবং যান্ত্রিক উপায়ে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এছাড়া প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ ধার্য ও আদায়সহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় ও আটটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকার দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ প্রদান করেন। আদেশ প্রদানের পাশাপাশি হাইকোর্ট এক গুচ্ছ রুল জারি করে।
রুলে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ (ইআইএ), হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে, ডিজিটাল সার্ভে এবং ট্রেস ম্যাপ প্রস্তুতের মাধ্যমে সমগ্র দেশে নদী ও নদী সংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলনের নেতিবাচক প্রভাব নিরূপণের পর বালুমহালের একটি হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুতপূর্বক বালুমহাল ঘোষণার নির্দেশ কেন প্রদান করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বালুমহাল ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে কঠোর পর্যবেক্ষণের পর ইজারা গ্রহীতাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের নির্দেশ কেন প্রদান করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে অবৈধ ও অননুমোদিতভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের এবং বালু উত্তোলন সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা গঠনের নির্দেশ কেন প্রদান করা হবে না তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
বেলার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আশরাফ আলী। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রুমানা শারমিন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।